নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় বিরোধ মিমাংসা করছেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. জুনাইদ।
বিরোধ মিমাংসায় লিগ্যাল এইড অফিসের সুফল পেতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাসিন্দারা। বিচারের ক্ষেত্রে এই সুবিধা শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে পৌঁছেছে। লিগ্যাল এইড কর্মকর্তারা উপজেলা পর্যায়ে গিয়ে বিরোধ মিমাংসা করছেন।
এতে করে স্থানীয় মানুষদের বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘ সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি আদালতের চাপও কমে আসছে।
রাঙ্গামাটিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন মো. জুনাইদ। বৃহস্পতিবার কাউখালী উপজেলায় গিয়ে দুটি নালিশী জমিতে মীমাংসা সভা করেছেন লিগ্যাল এইড অফিসার মো. জুনাইদ। এ সময় উপজেলা কমিটি গঠন এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতীবদের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি।
এর আগে একইভাবে রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, কাপ্তাই এবং রাজস্থলীতে বিরোধ নিষ্পত্তিতে এমন উপজেলা কমিটি করেছেন।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সূত্র জানায়, গত তিন মাসে ৫৭টি প্রিকেস সফল হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২০টি সিভিল বিরোধের মামলা ছিল। যা অন্য জেলার তুলনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা বটে।
লিগ্যাল এইড অফিসার জুনাইদ জানান, রাঙ্গামাটির সদরসহ ৬৫ কিলোমিটার দূরের লংগদু, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলার নালিশী জমিতে গিয়ে গত তিন মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টি মীমাংসা সভা হয়েছে। যেগুলোর বেশীরভাগ পক্ষের বিরোধ মিটে গেছে। অথচ এসব আনুষ্ঠানিক কোর্টে নিস্পত্তি হতে সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগার কথা।
জেলার একাধিক আইনজীবীরা জানান, বিরোধ মীমাংসার এই অভিনব সৃষ্টিশীল কৌশলে আগ্রহী হয়ে আপোষে মীমাংসার জন্য অনেকেই আদালতের কাছে আবেদন করছেন।