ইমাম খাইর, কক্সবাজার:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর চাঞ্চল্যকর মোর্শেদ আলী প্রকাশ বলী মোর্শদ হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ আসামীর প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দীর্ঘ শুনানী শেষে এ আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, এজাহারের ২ নম্বর আসামী মোহাম্মদ আলী প্রকাশ মোহাম্মদ (৪৫), এজাহারের ৪ নম্বর আসামী মাহমুদুল হক প্রকাশ মাহমুদুল মেম্বার (৫৫), এজাহারের ১৭ নম্বর আসামী দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার (৩০), এজাহারের ১৮ নম্বর আসামী আবদুল্লাহ (২৮), এজাহারের ১৯ নম্বর আসামী আবদুল আজিজ (২৩), এজাহারের ২১ নম্বর আসামী ওমর ফারুক (৩০) এবং সন্দেহজনক আসামী নুরুল হক (২১)। রিমান্ড আবেদন শুনানীকালে আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রিমান্ড আবেদন শুনানীকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে বলেন, হত্যাকান্ডের ইন্ধনদাতা, মদদদাতা চিহ্নিতকরণ, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র শস্ত্র উদ্ধার, পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামীদের রিমান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী তাঁর আদেশে রিমান্ডের আগে এবং পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে আসামীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একইসাথে রিমান্ড বিষয়ক হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিমান্ড কার্যকর করতে বিজ্ঞ বিচারক আদেশ দেন।
অন্যদিকে, একই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত জাহেদুল ইসলাম (১৬) এবং মোঃ ইয়াছিন (১৪) এখনো শিশু হওয়ায় শিশু আদালত কক্সবাজার-১ এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন তদন্তকারী কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেননি। শিশু আসামীদ্বয়কে নিরাপদ হেফাজতী পরোয়ানা মূলে গাজীপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণ করার জন্য বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল ইফতারের আগ মুহূর্তে মোরশেদ আলীকে জনসম্মুখে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ-যুব লীগের ১০ নেতাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই জাহেদ আলী। যার মামলা নং- ১৭/২২৭। গত ৯ এপ্রিল দায়েরকৃত এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত মোরশেদ আলী পিএমখালীর মাইজপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মরহুম ওমর আলীর পুত্র।