শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নিত্যপ্রযোজনীয় মালামালের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তেছে সাধারণ ক্রেতাদের। এ সুযোগ নিয়ে দোকানিরা প্রতিযোগিতামূলক ভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতি বছর রমজান মাস এলেই বেপরোয়া হয়ে উঠে মুনাফালোভী এসব ব্যবসায়ীরা।
তার পাশাপাশি শাকসবজি, মরিচ, আলু, টমেটো, গাজর, থেকে শুরু করে কাঁচা মালামালের মূল্য উর্ধ্বগতি।
এদিকে, ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ রয়েছে, প্রতি বছর রমজান মাস এলেই সাধারণ ক্রেতাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে কোন ধরণের ধারণা না থাকায় যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে নিত্যপণ্যের বাড়তি মূল্য আদায় করে নিচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের নিকট থেকে।
ক্রেতা রওশন আরা জানান, ‘টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকায় দেখি কোন কিছুর দাম বাড়েনি। কিন্তু এই বাজারে এলেই সব কিছুর দাম বৃদ্ধি। এক শ্রেণীর সুবিধা ভোগী কৃত্রিমভাবে কাঁচা বাজারের মালামাল সংকট দেখিয়ে রমজান মাসে মূল্য বৃদ্ধিতে কাঁচা মাল বিক্রি করে যাচ্ছে।
ধুরুং বাজারের ক্রেতা মোহাম্মদ রাসেল জানান, ধুরুং বাজারসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার রয়েছে। অথচ এখানকার অধিকাংশ দোকানে নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা নেই। তাই দ্রুত নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ্য জায়গায় প্রদর্শনসহ অভিযোগ বক্স বসানোর জন্য প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ক্রেতারা।
কুতুবদিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বড়ঘোপ বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আওরঙ্গজেব মাতবর জানান, কুতুবদিয়া দ্বীপে বড়ঘোপ বাজার ও ধুরুং বাজার দুইটা বড় বাজার আছে, এসব বাজারে প্রায় সাত’শ মুদির দোকান রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি মহল্লায় ১৫/২০টি করে মুদির দোকান চোখে পড়ে। সর্বোপরি দ্বীপের মধ্যে এক হাজারের অধিক মুদির দোকান রয়েছে। এসব দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা চোখে পড়ে না। মোবাইল কোর্ট এলেই গত বছরের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার মাহামুদুল হাসান বলেন, বড়ঘোপ বাজার ও ধুরুং বাজারে মনিটর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের মূল্য নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছেন। অবশ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের মূল্য তালিকা খোলা জায়গায় প্রদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।