জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা
সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমহনী বাজারে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে আনোয়ারা ছাড়াও বাঁশখালী, পেকুয়া, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার গাড়ী চলাচল করে। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই ইফতারির পয়সা সাজিয়ে দোকান বসানো ও ভাসমান বাজারের কারণে ফুটপাত পেরিয়ে দখল করে নিয়েছে মূল সড়কও। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, সিইউএফএল সড়কের চাতরী কাঁচা বাজারের প্রায় ৪০ ফুট প্রশন্ত সড়কের উভয় পাশেই শতাধিক দোকান। এরই মাঝে হোটেল-রেস্টুরেন্টরা বাসয়েছে ইফতারীর অস্তায়ী দোকান,এই দোকানগুলোর কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সড়কের উল্টোদিকের ফুটপাতের পুরোটাই অবৈধ দখলে। পথচারীদের চলাচলের জন্য কেনো জায়গা রাখা হয়নি। এছাড়াও সড়কের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে রেখেছে। এ যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সিইউএফএল, কাফকো, বঙ্গবন্ধু টানেল, কেইপিজেডসহ সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। এনসব দোকান থেকে থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাও তোলা হয়। চাঁদার এই টাকা বাজার ইজারাদার ও স্থানীয় নেতা-কর্মীর পকেটে এবং চাঁদা তোলার কাজে নিয়োজিত লাইনম্যান ও তাঁদের সহযোগীরা ভাগ করে নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, চকরিয়ার লাখো মানুষ চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করে প্রতিদিন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মোড়টিতে প্রতিনিয়ত লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। তবে বিকেল হলেই এ যানজট আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ যানজট দীর্ঘ দুই থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্তও লেগে থাকে। এতে আটকে পড়ে জরুরী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীও। যার ফলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন পথচারী ও যাত্রী সাধারণসহ কেইপিজেডের হাজারো শ্রমিকরা। এছাড়াও রাস্তার পাশ ঘেঁষে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। ট্রাফিক বক্সের বাইরের চিত্র আরও করুণ। পাশেই ময়লার ড্রেন। সেখানে মশার নিরাপদ আবাস। বক্সের নিরাপত্তায় নেই কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও (সিসিটিভি)। কার্যত ভেতর-বাইরে অরক্ষিত পুলিশ ট্রাফিক বক্স। যেন দেখার কেউ নেই।
জানতে চাইলে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, চাতরী চৌমুহনী বাজারে সড়ক ও ফুটপাত দখলের কারনে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলার মাসিক সমন্ময় সভায় জানানো হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, সড়ক দখল করে যারা অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে সড়ক ও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানও চালানো হবে।