জাহিদ হাসান, লামা:
বান্দরবানের লামায় পানিশুণ্য গ্রামে পিসিএনপি’র উদ্যাগে ২রা এপ্রিল থেকে সংকট নিরসনে ২য় ধাপে কাজ শুরু করেছেন।লামা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড মধুঝিরি গ্রামের বড় একটি অংশ পানি শুণ্য। মৌসুমের ডিসেম্বর মাস থেকে জুন পর্যন্ত পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দেয় গ্রামটিতে।ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেই এই গ্রামটিতে। ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের মানুষ ঝিরির উৎস থেকে পানির চাহিদা মেটায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে নানান কারণে ঝিরিতে পানির প্রাকৃতিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।এর ফলে গ্রামের বিশেষ করে প্রান্তিক শ্রেণির পরিবাগুলো তীব্র পানীয়জল সংকটে পতিত হয়।
মধুঝিরি ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন পশ্চিম পাশের গ্রামে ৫০ পরিবারের পানি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৯ সাল থেকে পিসিএনপি ক্ষুদ্র পরিসরে পানীয়জল সাপোর্ট দিয়ে আসছে।গ্রামের ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন পয়েন্ট থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট দূরে একটি ঝিরিতে রিং বসিয়ে মোটর দিয়ে ঘরে ঘরে পানি দেয়া হয় পিসিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামানের উদ্যাগে।
২রা এপ্রিল গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, ঝিরির পাড়ে একটি পাহাড় চুড়ায় রিজার্ভ ট্যাঙ্কি বসানো হয়। মোটর দিয়ে ট্যাঙ্কিতে পানি রিজার্ভ করে জিএফএস সিস্টেমে পাইপ দিয়ে গ্রামবাসীদের ঘরে ঘরে পানি পৌঁছে যায়।জীবনবান্ধব চলমান এই পক্রিয়ায় বিগত দিনে পিসিএনপি প্রায় লাখ টাকা ব্যায় করেছেন বলে জানাযায়। বর্তমানে এই সিস্টেমকে আরো টেকসই করতে নতুন করে রিং স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন।
চলতি রমজানে যেন নির্বিঘ্নে গ্রামবাসী পানীয়জল পায়, সে জন্য পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন যুগ্ন সচিব ও লামা উপজেলা সেক্রেটারী রিপোর্টার কামরুজ্জামান নিজের অর্থায়নে পানি সরবরাহে ২য় ধাপে কাজ শুরু করেছেন।
গত ২ এপ্রিল সরেজমিনে ঘুরে কয়েক জন নারী পুরুষের সাথে কথা হয়। তারা জানান, “এক সময় কলসি নিয়ে পানীয়জলের সন্ধানে চারদিকে দৌঁড়তে হত। বিগত ২ বছর ধরে আমাগো প্রতিবেশি পিসিএনপি নেতা কামরুজ্জামান ভাইয়ের সহায়তার ফলে আমরা ঘরে ঘরে পানীয়জল পাচ্ছি।”বয়বৃদ্ধ আবুল কালাম জানান, “পানির জন্য প্রান্তিক পরিবারের নারীরা বিগত ২ বছর আগে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেছে।
পিসিএনপি নেতাদের সহায়তা এখন আর কষ্ট নেই।” পাহাড়ে সাংবিধানিক অধিকার আদায় ও সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, জাতি, ধর্ম ভেদজ্ঞান না করে সকল মানুষের সেবা ব্রত লালন করছেন।পিসিএনপি’র মহতি কর্মোদ্যমে পর্বতে একদিন বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।