নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া:
চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে সৃষ্ট আগুনে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
রোববার (৩ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাটাখালী ব্রিজসংলগ্ন মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, মো. নুরুচ্ছফা, আহমদ হোসেন, মিরাজ, আবদুল হক, মোহাম্মদ আলম, হেলাল উদ্দিন, মহিউদ্দিন, জমির ও বশির আহমদ।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো. নুরুচ্ছফা বলেন, বিকেলে আছরের নামাজের পরে বাড়ির মহিলারা যার যার মতে সবাই রান্না ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিল। এসময় কোনো একটি বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে একইসঙ্গে লাগোয়া ৯ বসতঘরে মুহুর্তের মধ্যে আগুন লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নয়টি বসতঘরে থাকা নারী-পুরুষ ও সন্তানেরা প্রাণে রক্ষা পেলেও বসতঘর গুলো সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার পূর্বে আগুনে সবকিছু পুড়ে যায়।
এদিকে, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো তাদের সহায় সম্বল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা এখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে এসব পরিবারের সদস্যরা।
চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বরত অফিসার সেলিম উদ্দিন বলেন, রবিবার বিকালে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে ৯টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কার বাড়ি থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেনি।
সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকান্ডে ঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রতি পরিবারকে ৫হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকরা আমাকে অবহিত করা পর দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ ৯টি পরিবারের জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে চাল, ডাল, তেলসহ শুকনো খাবার ও পরিধানের বস্ত্র তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রতি পরিবারকে নগদ আর্থিক ভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।