নিজস্ব প্রতিবেদক
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা দক্ষিণ মাইজ পাড়ায় জায়গা জমির বিরোধের সুত্র ধরে ষাটোর্ধ্ব ২ বৃদ্ধসহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। রেহাই পেলোনা চিকিৎসকও।
গত ৩ মার্চ নুসরাতুল নাঈম (৩০) নামক একজন মহিলা কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-১ আদালতে মামলাটি করেন। যার সিপি মামলা নং ৭৭/২২। বাদি ডুলাহাজারা পূর্ব মাইজ পাড়ার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।
প্রধান বিবাদী মঈন উদ্দিন একই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মাওলানা ছাবের আহমদের ছেলে। তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক, চকরিয়া হোমিও হেলথ হোমের সত্ত্বাধিকারী ও ঈদগাঁও নেজাম এন.ইসলাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক।
শুধু তাই নয়, ৬৫ বয়সোর্ধ্ব এবং প্যারালাইসিস আক্রান্ত ছৈয়দ আলম নাম ব্যক্তিকেও যৌন হয়রানি মামলার আসামি বানানো হয়েছে। অপর আসামি এনামুল হকের বয়স ৬০ বছর। তারা দুইজনই দিনমজুর, অতিসাধারণ মানুষ। তবে, মামলায় বয়স দেখানো হয় ৩৫ বছর। এরকম খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে সাজানো মামলার খবরে এলাকাবাসী নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ভুক্তভোগী ডাঃ মঈন উদ্দিন শনিবার দুপুরে (১৯ মার্চ) সাংবাদিকদের বলেন, কিছু সন্ত্রাসী ও দখলবাজ সিন্ডিকেট মিলে আমার ভাই নুরুল মোস্তফার খতিয়ানভুক্ত জমি দখল করতে দীর্ঘ দিন চেষ্টা করছিল। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস চলমান। ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। থানা কর্তৃপক্ষও ঘটনা সম্পর্কে অবগত। এর মাঝেই একজন মহিলাকে ভিকটিম সাজিয়ে বয়স প্রায় অর্ধেক কম দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর।
তিনি বলেন, বিএস খতিয়ান নং-৪৩, নামজারি খতিয়ান নং-১২৮ ভুক্ত জমির বিরোধের সুত্র ধরে এম.আর মামলা ৪২৮/২২ মূলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী নিষেধাজ্ঞা দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আবু সুফিয়ান। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদেশ মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নোটিশ দেয় থানা।
ডাঃ মঈন উদ্দিন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও বিরোধীয় জমিতে ঘর নির্মাণ করছে আসামি বোরহান উদ্দিনসহ দখলবাজ চক্রটি।
তার দাবি, নুসরাত বেগম নামক তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে দখলবাজির ঘটনায় পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূল পরিকল্পনাকারী হুমায়ুন কবির। কথিত ভিকটিমের দায়েরকৃত মামলার সাক্ষীরা আমাদের জমি দখল মামলার আসামি। সমাধানের জন্য স্থানের প্রশাসন ডাকলেও পাত্তা দেয় নি। যা সরেজমিন তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হবে। সাজানো মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত জুয়েল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা এখনো অবগত নই। বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।