নিজস্ব প্রতিবেদক:
আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ বজায় থাকা স্বত্ত্বেও স্থিতিবস্থার আদেশ লংঘন করে বিবাদীকে দখলে দিতে চেষ্টার ঘটনায় আদালতে নিঃশ্বর্ত ক্ষমা প্রাথর্না করে অব্যহতি পেয়ে পুনরায় বিজ্ঞ বিচারক ও আদালত অবমানা এবং বাদীকে হুমকির ঘটনায় আদালতে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন।
বৃৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে সাতকানিয়া চৌকির সিনিয়র সহকারী জর্জ আদালতে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আগামী রোববার অধিকতর শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন সাতকানিয়া সিনিয়ির সহকারী জর্জ আদালত।
আদালত অবমাননা ও একটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থার আদেশ বজায় থাকা স্বত্ত্বেও স্থিতিবস্থার আদেশ লংঘন করে বিবাদীকে দখলে দিতে চেষ্টা ও মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ায় চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট এম.এ ফয়সাল । বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের তর্ক যুক্তির শুনানী করেন। আসামীপক্ষ নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট এম.এ ফয়সাল জানান, চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনআদালত অবমাননা করা মানে বাংলাদেশের সংবিধানকে চ্যালেঞ্চ করা বা অসম্মান করা। সংবিধানকে অসম্মান করা মানে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য রাখে না। চেয়ারম্যান সাহব আদালতে উপস্থিত হয়ে ভাইরাল হওয়া ভিডিও অস্বীকার করেন। বিজ্ঞ বিচারক অধিকতর শুনানীর জন্য আগামী রোববার ধার্য্য তারিখ ঠিক করেন। ওই দিন পর্যন্ত বাদীকে চেয়ারম্যাসের তত্বাবধানে ২ জন চৌকিদার দ্বারা সিকিউরিটিতে রাখার নির্দেশ দেন। এছাড়া রোববার বাদী পক্ষকে ২ জন চৌকিদার দ্বারা সিকিউরিটির মাধ্যমে আদালতে হাজির হবে।
সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেছবাহ্ উদ্দিন কচির বলেন, আদালত সম্পর্কে হেলাল চেয়ারম্যানের কোন ধ্যান ধারণা নেই। নাবালক ছেলের মতো যে কথাবার্তা বলেছেন তা আইনত ধীক্কার জনক কথাবার্তা। আদালত অবমামনায় আইনগত ভাবে সে ভাবে অগ্রসর হব আমরা।