আবদুর রশিদ, নাইক্ষংছড়ি
রামুর দোছড়িতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে স্টাম্পের আঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত যুবকের জয়নাল আবেদীন (২৫) রামুর দোছড়ি গ্রামের মৃত মনির আহমদের ছেলে। সে এক সন্তানের জনক ।
প্রত্যক্ষদর্শী আয়াত উল্লাহ বাবু,দলনেতা মহিউদ্দিন সহ অনেকেই জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি দক্ষিনকূল ফকিরা কবরস্থান জানাজার মাঠে ক্রিকেট খেলতে যায় একদল কিশোর ও যুবক। খেলার শর্ত ভংগ করে অপর দলনেতা সূব্রত দাশ শুভ ব্যাট করতে চায় বার বার। এতে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ দলনেতা মহিউদ্দিন সহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে লেগে যায় মারামারি।
মহিউদ্দিন আরো বলেন, ঘটনার এক পর্যায়ে ফরিদ আলম চৌধুরী নামের এক যুবক দলনেতা মহিউদ্দিনকে ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে পিটাতে থাকে তাকে ।
বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা জেড়াতো ভাই জয়নাল আবেদীন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঝগড়া ভেঙ্গে দিতে চেষ্টার প্রাক্কালে ফরিদ আলম প্রকাশ চৌধুরী তাকে (জয়নালকে) জোরে একটি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে জয়নাল। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।
পরে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০ টায় সে মারা যায়। এ বিষয়ে শুভ এ প্রতিবেদককে জানান, ফরিদ আহদমচৌধুরী তার গড়া শুভ ত্রিকেট একাডেমির সদস্য ছিলো। উগ্র হওয়ায় তাকে তার সমিতি থেকে বহিষ্কার করে চৌধুরীকে। ঘটনার মূল হোতা সে এ চৌধুরী। তবে নিজেকে সে নিরপরাধ দাবী করেন পাশাপাশি।
এদিকে মৃত জয়নালের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন,মৃতকে নিয়ে এখন খেলা চলছে। রফাদফা করতে সাংবাদিক-পুলিশ-জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজে মাঠে নেমেছে একদল দূর্নীতিবাজ। তারা ২ লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে কাজ নেমেছে খুনিরা।
অপর দিকে, সচেতন মহলের দাবী তিতার পাড়ার পর এবার দোছড়ির এ যুবক হত্যাকান্ডের স্বীকার যুবকের লাশ নিয়ে কুচক্রি মহল অপরাধিকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে!
রামু থানার অফিসার ইনর্চাজ আনোয়রুল হোসেন বলেন, হত্যা কান্ডের ঘটনা সত্য। বাকী বিষয় ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।