ইমাম খাইর, কক্সবাজার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যান চাপায় পাঁচ ভাই নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহতদের ভাই প্লাবন চন্দ্র সুশীল বাদি হয়ে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে অজ্ঞাত পিকআপ চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলাটি করেন। মামলা নং-১৫/৫৫।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি মামলা দায়েরের সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলাটি হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
সেই ঘাতক পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালকের নাম ঠিকানা পাওয়া যায় নি।
থানার ওসি জানিয়েছেন, জব্দ পিকআপের নাম্বারের সুত্র ধরে চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় উপজেলার মালুমঘাট বাজার সংলগ্ন নার্সারি এলাকায় দুর্ঘটনায় ৫ সহোদর নিহত হন।
সেখানে ঘটনাস্থলে নিহতরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম সুশীল (৪৬), তার ভাই নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তাদের ভাই রক্তিম সুশীল (৩৬)।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, স্বরন সুশীল, প্লাবন সুশীল ও হীরা সুশীল।
তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত ৩০ জানুয়ারি মারা যাওয়া বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
এদিকে, একই দিন বিকালে নিহতদের শেষক্রিত্য সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া হতে মালুমঘাট এসে বসতি গড়ার পর সুরেশ চন্দ্র শীল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে সেবা দিতেন। তার ছেলেরা কুতুবদিয়ায় থেকে বাবা-মায়ের কাছে আসা যাওয়া করতো।
গত ৩০ জানুয়ারী সুরেশ চন্দ্র শীল পরলোক গমন করেন।
বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের জন্য সনাতন ধর্মমতে সুরেশের সাত ছেলে ও এক মেয়ে ভোরবেলা ক্ষৌর কর্ম (মাথার চুল ফেলে দেওয়া) সম্পন্ন করতে হাসিনাপাড়ার তিন রাস্তার মন্দিরে যান। মন্দির থেকে ক্ষৌরকর্ম শেষে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, ৬ ফেব্রুয়ারী দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার খুটাখালী এলাকায় পিক-আপকে ওভারটেক করতে গিয়ে মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে বাস চালক-হেলপার ও ট্রাক চালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন। ৩০ ঘণ্টার মাথায় আরেকটি দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন নিহত হলো।