ডেস্ক নিউজ: টাঙ্গাইল:
কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান থাকলেও ভেতরে চলছে প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট। আর এতে সহযোগিতা করছেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। তার দাবি একটু সমস্যা হয়েছিল, পরে ঠিক হয়ে গেছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমনই দৃশ্য ছিল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। যদিও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম এসব ঘটনা অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটারদের কাছ থেকে জোর করে ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট দিচ্ছেন নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করাা শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানান, স্থানীয় প্রশাসনের ইন্ধনেই জোর করে ভোট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
অলোয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ জানান, নৌকায় জোর করে ভোট দেওয়ার বিষয়টি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বরং নৌকার প্রার্থীকে সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে অলোয়া ইউনিয়নের আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিশৃঙ্খলার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন।
ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম রফিক পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম (সরকার শরীফ) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯ ভোট ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়েছেন। ৯টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ১৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো.শরিফুল ইসলাম (সরকার শরিফ)।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভূঞাপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম জানান, একটু সমস্যা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
সুত্র: বাংলা নিউজ।