মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া-কুতুবদিয়া:
ঘুষ,নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ডেরা কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন ও অগ্রাধিকার মূলক পানি সরবরাহ’র ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ স্থাপনে সরকারি কোন নিয়ম-নীতির বালাই নেই এ অফিসে।
গভির নলকূপ স্থাপনের আগেই উপকারভোগীদের
নিকট হইতে সরকার নির্ধারিত সহায়ক চাঁদা বাবদ বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তা ও লেভার ম্যাশন মিজানের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে কিছু ভংয়কর তথ্য,
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় স্থাপিত প্রতিটি গভীর নলকূপের সরকারি ভাবে সহায়ক চাঁদার পরিমাণ সাড়ে ৭ হাজার টাকা নির্ধারিত হলেও জোর পূর্বক বিভিন্ন কৌশলে দফায় দফায় উপকারভোগীদের নিকট হইতে ৩০-৪০টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। অফিসের কর্মচারী মিজান বিভিন্ন খরচের কথা বলে জিম্মি করছে সাধারণ মানুষকে।
শুধু তা নই, নলকূপ স্থাপনে নিয়োজিত শ্রমিকদের
খাবার,অতিরিক্ত ফিল্টার,মালামাল পরিবহন খরচ
যাতায়াত ভাতাসহ উপকারভোগীদের গুণতে হচ্ছে আরো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় এই অফিসের কর্মকর্তা এবং লেভার ম্যাশন মিজানের লুটতরাজ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়মিত চলছে লুটপাটের রামরাজত্ব। উপকারভোগীদের প্রকাশ্যে হুমকির মুখে জিম্মি করে নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
নলকূপ বাবদ জামানতের টাকা হারানোর ভয়ে
ওই অফিসের কর্মকর্তা ও মিজানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না ভোক্তভোগীরা।
তবে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভোক্তভোগী বলেন, জনস্বাস্থ্য অফিসের লেভার ম্যাশন মিজানকে বেশ কয়েকমাস আগে গভীর নলকূপের জন্য ৩৩হাজার টাকা জামানত হিসেবে প্রদান করেছি। অদ্যবধি আমাকে নলকূপ স্থাপন করে দেই নি। এছাড়া ৩৩ হাজার টাকা জামানত ব্যথিত আরো ৭হাজার টাকা দাবী করছে। অন্যথায় নলকূপ স্থাপন করে দিবে না বলে মোবাইল ফোনে সাফ জবাব দেই।
অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান দেওয়ানজী বলেন, কুতুবদিয়ায় সাধারণ দুই ধরণের নলকূপ স্থাপন করা হয়। দেড় তিন ইঞ্চি পাইপের সরকারি সহায়ক চাঁদার পরিমাণ ৭,৫০০টাকা।
তবে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ এবং গভীর নলকূপ স্থাপনে শ্রমিকদের খাবার, মালামাল পরিবহণ ও অন্যান্য খরচসমূহ উপকারভোগীদের বহনের বিষয়ে বলতে রাজি হননি।