শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ধূরুং,আজম কলোনী ,বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতসহ শীতের মিঠে-কড়া রোদে শুঁটকি তৈরির উৎসব চলছে। উপজেলার ১৮ হাজারো অধিক জেলে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে চলছে মাছ ধরার ভরা মৌসুম। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে ব্যস্ত এসব জেলেরা। জালে ধরা পড়া সমুদ্রের ছোট-বড় চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো এসে জমা হয় ডাঙায়।
কাঁচা মাছগুলো উপজেলার ধূরুং,আজম কলোনী ,বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতসহ প্রায় ১০টি এলাকা শুকিয়ে শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মহালের নারী ও পুরুষ শ্রমিকরা। পাতানো ভাসমান ও টং জাল, বেহুন্দি জালে আহরিত সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জেলেদের নৌকা থেকে উঠানো হচ্ছে। সেখানে জেলেদের কাছ থেকে পছন্দের মাছগুলো কিনে মহালে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এসব মাছ প্রথমে মহালে সংরক্ষণ করা হয়। সেখানে চিংড়ি ও ফাইস্যা জাতীয় মাছগুলো মাটিতে ছিটিয়ে শুকানো হয়।
বুধবার বেলা ১১টায় বড়ঘোপ সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত বালুচরে গড়ে উঠেছে সারি সারি শুঁটকি মহাল। মহালের শ্রমিকেরা বাঁশের মাচা বানিয়ে তাতে রুপচাঁদা, লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, চইক্যা, পোয়া ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রাখছেন শুকানোর জন্য।
কোথাও বাঁশের খুঁটিতে মাছ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে শুকানোর জন্য। শুকনো মাছ বাছাই করে এক পাশে রাখছেন কিছু শ্রমিক। আশপাশের সব শুঁটকি মহালেই শ্রমিকদের ব্যস্ততার এই চিত্র দেখা গেল।
এবিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন শুটকি ব্যবসায়ী বলেন, কোনো ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হচ্ছে শুটকি। ফলে, এখানকার উৎপাদিত শুটকি স্বাদে ও মানে প্রসিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য নেয়া হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার আমিন বলেন, শুটকি মৌসুমে যারা মাছের শুটকি তৈরি করেন প্রতিনিয়ত তদরাকি করে যাচ্ছি। যাতে শুটকিতে কোন প্রকার ক্যামিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে। গত কয়েক সপ্তাহ আগেও জেলেদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার অভিযানো পরিচালনা করা হয়।