লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ৫ নং ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মোঃ গিয়াস উদ্দিন মেম্বারকে পুনরায় মেম্বার হিসেবে চাই এলাকাবাসী।
গিয়াস উদ্দিন মেম্বার পুটিবিলা ৫ নং ওয়ার্ডের মরহুম হেদায়াত আলীর পুত্র। জানা যায় গিয়াস মেম্বারের পিতা হেদায়াত আলী টানা ২১ বছর পুটিবিলা ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গিয়াস মেম্বারকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর শের-ই বাংলা স্বর্ণ পদক দেন শের-ই বাংলা মানবাধিকার সোসাইটি ।
তিনি স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি,তাতীপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও হাসানআলী সিকদার জামে মসজিদের সহ-সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকার মোঃ নুরুচ্ছফা জানান, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার একজন সুদক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি। তিনি কথায় নয়, কাজেই বিশ্বাসী। গত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর দায়িত্ব গ্রহন করে ৫নং ওয়ার্ডের অলিতে গলিতে উন্নয়ন করেছেন । তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গিয়াস উদ্দিন মেম্বারকে আবারো আমরা মেম্বার হিসেবে চাই। গত ১০ নভেম্বর লোহাগাড়ার পুটিবিলাসহ ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনকে ঘিরে পুটিবিলা ৫নং ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লা ও চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। যেখানে যোগ্যপ্রার্থী এবং সফল মেম্বার হিসেবে গিয়াস মেম্বারের নাম সবার মুখে মুখে। ইতিমধ্যেই তিনি হাসানআলী সিকদার জামে মসজিদের মাঠ,বায়তুল আমান জামে মসজিদের মাঠ ও শেরআলীপাড়া জামে মসজিদের মাঠে পরামর্শ সভা করেছেন।
জানা যায় পরামর্শ সভায় অধিকাংশ মানুষ আবারো গিয়াস মেম্বারকে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এলেকা ঘুরে দেখা গেছে পুটিবিলা ৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলেকায় সম্পূর্ণ নতুনভাবে ৮ টি মাটির রাস্তা তৈরী করা হয়েছে এবং অধিকাংশ রাস্তা এইচবিবি দ্বারা ইটের ব্রিকসলিং করা হয়েছে। এতে খুব সহজেই চলাচল করতে পেরে এলেকাবাসী খুবই খুশী।
স্থানীয় সোনা মিয়া বলেন আমাদের গিয়াস মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলেকার রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদরাসার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়াও এলেকার আবুল হাসেম ও আব্দুল জব্বারের পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় ৭০ বছর বয়সী মনসুর আলী বলেন গিয়াস উদ্দিন মেম্বার হওয়ার পর থেকে এলেকার অধিকাংশ বয়স্করা ভাতা পাচ্ছে। এলেকার শতভাগ বয়স্কভাতা ছাড়া বিধবাভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা গিয়াস মেম্বার সুবিধাভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। এমনকি এলেকাবাসীরা যাথে ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য গিয়াস মেম্বার এলেকাবাসীর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে নিজেই পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষর নিয়ে আসেন। আমরা আগামীতে আবারো গিয়াস উদ্দিনকে আমাদের মেম্বার হিসেবে চাই ।
এলেকার মোঃ কুতুব উদ্দিন জানান গিয়াস উদ্দিন মেম্বার গত ১০ বছরে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ভাতা প্রদান এবং সামাজিক কর্মকান্ডে সবসময় অসহায় পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেছেন। এছাড়াও এলেকাবাসী গিয়াস উদ্দিন মেম্বারের কাছ থেকে সুষ্ঠু শালিশ-বিচার পাচ্ছে ।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার সুষ্ঠু বিচার-শালিশের মাধ্যমে এলেকার অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন। তিনি সবসময় আশপাশের অসহায় মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করেন। গিয়াস উদ্দিন মেম্বারের সবচেয়ে বড় গুনাবলী হচ্ছে যখনই এলেকার মানুষ বিপদে পড়ে গিয়াস উদ্দিন মেম্বারকে ফোন করেছে তখনই তিনি হাজির হয়ে সমস্যার সমাধান করেছেন।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এলাকায় রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সমাজনীতি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সর্বোপরি অন্যায়ের কাছে হার না মানায় জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন মেম্বার গিয়াস উদ্দিন ।
একান্ত আলাপকালে মোঃ গিয়াস উদ্দিন মেম্বার বলেন, আমি কথায় নয়,কাজে বিশ্বাসী। তাই নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি এবং পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী ইউনুচের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলেকার রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি । যতটুকু সরকারী বরাদ্দ পেয়েছি, তার বাইরেও নিজস্ব তহবিল হতেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। আগামী ইউপি নির্বাচনেও এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সদস্য পদে প্রার্থী হব। এরলক্ষে সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মাঠ, খাতেববাড়ি জামে মসজিদের মাঠ,বুহারী মাদরাসার মাঠ, পুরাতন আশ্রয়ন প্রকল্প ও তাতীপাড়া শীলপাড়া মন্দিরের মাঠে পরামর্শ সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকার সর্বস্থরের মানুষের দোয়া, ভালবাসা, সহযোগীতা ও সমর্থন কামনা করেছেন।