নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লোহাগাড়ার পুটিবিলায় চেয়ারম্যান পদে নানা হিসাব নিকাশে চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের সুযোগ হলেও এবারের নির্বাচনে হতে পারে চমক। ৪ জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর নীরব প্রচারণা লক্ষ্যনীয়। তবে হাজী ইউনুছ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও স্বজন ও প্রতিবেশী এবং সমর্থকরা তা মানতে নারাজ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদেও আসতে পারে চমক। পুটিবিলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণের বর্ধিত সভায় পুটিবিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক ও আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম দিদারুল আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।
উক্ত বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মুসলেম উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার পর থেকে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। বর্ধিত সভায় পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুছ প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দিলেও তা মানতে নারাজ এলাকার সাধারণ জনগন। সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পুটিবিলার শতশত লোকজন মিছিল সহকারে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে দাফায় দফায় বৈঠক করেন।
পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুছের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য আমি মোঠেও প্রস্তুত নন। আর নির্বাচন যে আমি করবনা, সেটা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সবার সামনে সাফ জানিয়ে দিয়েছি। আমার প্রতিবেশী ও সমর্থকরা কেন নির্বাচনে দাঁড়াতে বলছে সেটা বুঝতে পারছি না। তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
অপরদিকে, পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম জয়নুল আবেদীন জনু মিয়া (১৯৩৮-১৯৭২) নাতী ও সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান মরহুম আবু হানিফ চৌধুরীর (১৯৯৭-২০০৮) সুযোগ্য সন্তান পুটিবিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফুরাত বিন হানিফ চৌধুরী শাকিলও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, পুটিবিলা ইউনিয়ন যাদের হাতে নিরাপদ হবে আসরা তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব। পুটিবিলার মানুষ শান্ত প্রিয় মানুষ। অতিতেও যারা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তারাও শান্ত প্রিয় ছিলেন।