বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দৌছড়ি ইউপির চার বারের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ্ আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বঞ্চিত হওয়ায় সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভে সমর্থকরা সড়কে সড়কে কলাগাছ রোপন ও গাছে কলাগাছ লাগিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করে।
বিশাল কলাগাছ মিছিলে মূখরিত হয়ে উঠেছে দৌছড়ি ইউনিয়নের প্রতিটি অলি-গলি। চাক, মুরুং, ত্রিপুরা সহ কয়েক হাজার পাহাড়ি-বাঙালি এ কলাগাছ শোডাউনে অংশ নেন। বিশেষ করে এ পাহাড়ি জনপদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রশিদ আহমদ তার দলবল নিয়ে এ শোডাউনে অংশ নেয়ার বিষয়টি আলোচনাতে ঘুরপাক খাচ্ছে শুক্রবার থেকে ।
গত ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) বাদে জুমা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের প্রাণ কেন্দ্র বাহিরমাঠ থেক কুলাচি পর্যন্ত এ শোডাউন চলে। পরে মিছিলটি ফিরে এসে বাহিরমাঠস্থ দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নৌকা প্রতীক না পাওয়া দোছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গত নিবার্চনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি সভাপতি রশিদ আহমদ, মো. মোসলেম মেম্বার, সমাজসেবক সালাহউদ্দিন চৌধুরী, মেম্বার নূরুল আলম, মহিলা মেম্বার রেহেনা আক্তার,পাক্কু মুরুং কারবারী, শফিকুর রহমান মেম্বার, ডা: আব্দুল মান্নান, নুরু নবি, ক্লিনতোয়াই মুরুং, ছেন চাং মুরুং, ছাইলাই মুরুং, কেওলাচিং চাক,মংবা চাক, রেনু ত্রিপুরা,অবিরাম ত্রিপুরা,সত্য রাম ত্রিপুরা,মোঃ শাহ নেওয়াজ, পাইনপিং মেম্বার।
স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের পর বাহির মাঠ এলাকায় পায়ে হেঁটে গাড়িতে করে হাজারও পাহাড়ি বাঙালি সমর্থক কলা গাছ লাগিয়ে আর কলাগাছ উচিঁয়েে বাহির মাঠ থেকে বিশাল শোডাউন কোলাচি পর্যন্ত যান। এ সময় পাহাড়ের চুড়া ও আশ-পাশ থেকে শত শত নারী পুরুষ এ শোডাউনকে স্বাগত জানান